সুস্থ এবং সুন্দর জীবনের পাশাপাশি কে না চায় অন্যের চোখে নিজেকে একটু বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে। যদি তাই হয়, তাহলে কি আপনি মনে করেন আপনার বাড়তি ওজন নিয়ে তা কি আসলেই সম্ভব? যদি আপনার উত্তর না হয় তাহলে ওজন কমাতে আপনার উপকারিতার সবচেয়ে উপকারী টিপস আমি আজকে আপনাদেরকে প্রদান করতে যাচ্ছি।
আমাদের শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে আপনারা কত রকমের নিয়মকানুনই না মেনে চলছেন দিনকে দিন। তবে আপনার কি শুধু নিয়মকানুন মেনে চললেই হবে? নাকি পরিবর্তন আনতে হবে আপনার খাদ্যাভ্যাসেও। যদি তা হয় সুষম খাদ্যের পাশাপাশি প্রতিদিন তাজা ফলের এক গ্লাস জুস খাওয়া শুরু করুন। এই প্রাকৃতিক জুস আপনাকে অনেক দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। একই সাথে আপনাকে অনেক রোগের হাত থেকেও রক্ষা করবে।
উপকারিতাঃ
আপনি হয়তো জানেন না কিংবা জানেনও বটে ফাস্ট ফুডের উচ্চ ক্যালোরি বেশি মাত্রায় অ-স্বাস্থ্যকর। চেষ্টা করুণ বার্গারের পরিবর্তে তাজা ফল ও সবজির রস পান করতে। এটি ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরকে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এনজাইম এবং সেই সাথে অন্যান্য পুষ্টিরও জোগান দেবে।
তাছাড়া টাটকা জুস বাড়িতে আপনার চোখের সামনেই খুব সহজেই তৈরি করা যেতে পারে আর তাই এটি প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত। শুধু তাই নয়, জুস আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় এবং সারাদিনের সবকিছুকে সহজেই সামলানোর জন্য অনেক বেশি প্রস্তুত করে তোলে।
আমাদের শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে সেই সাথে লিভার পরিষ্কার করে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পালংশাক, পাতাকপি, সরিষা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, বিট, টমেটো, শসা, লাউ সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি। এগুলোর জুস আপনাকে দেবে ফুরফুরে অনুভূতি।
আপেল, ডালিম, পেঁপে, পীচ, এবং স্ট্রবেরি, ঘৃতকুমারী এবং আমলকির জুসও শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
জেনে নিন এই তাজা ফলের রস ওজন কমানোর পাশাপাশি কিভাবে রোগ মুক্তিতেও আপনাকে সহায়তা করতে পারেঃ
ত্বক ও দাঁতের সমস্যাঃ
কচি গমের রসে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সালফার, কোবাল্ট এবং জিঙ্কের মত খনিজ পদার্থ রয়েছে যা ত্বক ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
যৌনরোগেঃ
আমন্ড বা কাঠবাদাম, চীনা বাদাম,পেস্তা বাদাম এবং পালং শাক ভিটামিন ই-এর জন্য জনপ্রিয়। এসবের জুস যৌনক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং যৌনরোগ সারাতে সক্ষম।
রক্তাল্পতাঃ
বাঁধাকপি, গাজর, বীটের জুস পানে রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) দূর হয়।
ক্ষুধামন্দায়:
গাজর রসের সাথে পানি এবং ঠান্ডা মাঠা এক্ষেত্রে কার্যকরী।
কাশিঃ
বাসক পাতার সাথে আদার জুস কাশিতে ব্যাপক উপকারী।
বাতঃ
সমান পরিমাণে গাজর এবং বীটের মিশ্রণের জুস বাতরোগ সানাতে সক্ষম।
হাঁপানিঃ
লেবুর রস এবং মধু হঁপানি (অ্যাজমা) নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সিরোসিসঃ
আপেল, নাশপাতি ও আনারসের জুস সিরোসিস কমাতে সক্ষম।
কোলাইটিসঃ
গরম পানিতে পেঁপের জুস কোলাইটিস কমায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ
পালংশাকের জুস বা স্যুপ, পেয়ারা ও নাশপাতির জুস কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে্
ডায়াবেটিসঃ
শসা, পেঁয়াজ, রসুন,করলা ও লাউ জাতীয় সবজি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।জামের জুস ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী।
উদারাময়ঃ
কমলার রস, গাজরের স্যুপ এবং ডালিমের জুস উদারাময়ে (ডায়ারিয়া)উপকারী।
চুল পড়াঃ
বিভিন্ন শাকের সাথে লেটুস পাতার জুস চুল পড়া রোধ করে।
ক্লান্তিতেঃ
বীট, গাজর এবং শসার ক্লান্তি কমিয়ে দ্রুত চনমনে করে তোলে।
হৃদরোগেঃ
আমলকি রসের সাথে মধুর জুস হৃদরোগ কমায়।
উচ্চ রক্তচাপঃ
রসুন, তরমুজ রস, আমলকি রস, শসার রস এবং সর্পগন্ধার রস উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
নিম্ন রক্তচাপঃ
বীটের জুস নিম্ম রক্তচাপে উপকারী।
বদহজমঃ
আনারস ও লেবুর রস বদহজম কমাতে সাহায্য করে।