অনলাইনের মার্কেটপ্লেসেও কাজ পাওয়ার জন্য একটি জব কভার লেটার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ ফ্রিল্যাঞ্চারদের মতে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের বিষয়টি অন্যতম কারন। একটি আকর্ষণীয় ভালো মানের কভার লেটার ফ্রিল্যান্সারদেরকে অনেক বেশি মাইলেজ দিয়ে থাকে। শুরুতেই আপনি যদি ক্লায়েন্টের নজর কাড়তে চান তাহলে কভার লেটার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কভার লেটার দিয়ে নজর কাঁড়তে না পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভবণা একেবারে শূণ্য। তাই আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের একটি কভার লেটার লেখা যা শুরুতেই বিশেষ প্রাধান্য দিতে হবে।
ইল্যান্স-ওডেক্সের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খানও মনে করেন মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য ভালো মানের কভার লেটারকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সেমিনারে। তিনি ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণের ক্ষেত্রে এটিকে ভালো করে উপস্থাপনের বিষয়টি পরামর্শ দিয়েছেন।
আমাদের সোর্স টিউন ডট কম পাঠকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি ক্ল্যায়িন্তের নজরকারা কভার লেটার তৈরিতে যে দশটি (১০) টি বিষয় করনীয় সেই নিয়ে এই আর্টিকেল।
নিচে দেখুনঃ
১. কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথমে যে বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দিতে হবে সেটি হচ্ছে, জব দিস্ক্রিপশন অনুযায়ী হবে আপনার কভার লেটার। ক্ল্যায়িন্তের চাহিদা অনুযায়ী কভার লেটার লিখতে হবে।
২. ভাষার দক্ষতার দিকে নজর দিতে ভুল করবেন না। সঠিক বানান, নির্ভুল বাক্য দিয়ে কভার লেটার লিখবেন। কম শব্দের মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করবেন জবের বিস্তারিত তুলে ধরার। ক্লায়েন্টদের সময় কম থাকায় তারা বড় কভার লেটার পড়তে স্বাদছন্দবোধ করেন না, তাই ছোট কভার লেটার লিখতে হবে।
তবে মনে রাখতেই হবে যে, ক্লায়েন্ট যাহাতে সম্পূর্ণ কভার লেটার পড়ে আপনার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারে সেদিকে ভালো মত খেয়াল রাখতে হবে।
৩. ভিন্ন ভিন্ন জবের জন্য একই কভার লেটার বার বার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং মনে রাখবেন তা একদমই উচিত নয়। এতে যেকোন ক্লায়েন্ট বিরক্ত হতে পারেন সহজেই।
৪. কভার লেটারে Hi কিংবা Hello অর Hiring Manager দিয়ে শুরু করা ভালো। স্যার ও ম্যাডাম লেখা পরিত্যাগ করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. যে কাজের জন্য আপনি অ্যাপ্লাই করছেন সেই রকম কাজের যেকোন একটি ডেমো কভার লেটার যুক্ত করে দিতে পারলে ভালো হয়। যাহাতে আপনার কভার লেটার দেখে ক্লায়েন্ট সহজেই বুঝতে সক্ষম হয় যে আপনি কাজটি করতে পারবেন।
৬. যে কাজটিতে আপনি আপ্ল্যাই করছেন সেই ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দিন কাজটি সম্পর্কে। ক্লায়েন্ট যেভাবে চাচ্ছে সেটির চেয়ে আরও কিভাবে ভালো করে কাজটি করা যেতে পারে সেই পরামর্শ দিন। কেন অন্যভাবে করলে আরও বেশি সুন্দর হবে সেটি আপনি চেষ্টা করুন ক্ল্যায়িন্তে সংক্ষেপে তাকে বুঝিয়ে দিন। তাহলেই দেখবেন ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে যে আপনি কাজটি করার জন্য একজন এক্সপার্ট। আর সেক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
৭. কখনোই ই-মেইল, স্কাইপে আইডি কিংবা হটমেইল, ইয়াহু আইডি কভার লেটারে দেওয়া যাবে না। যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করে তাহলে তখন দেওয়া উচিত।
৮. অনেকে জব কভার লেটারে নিজের বেশি গুনগান করে থাকেন ও কাজটি পাওয়ার জন্য ক্ল্যায়িন্তকে আকুতি মিনতি করেন। মনে রাখবেনএগুলো আপনাকে পরিহার করতেই হবে।
৯. যথাযতভাবে ধন্যবাদ দিয়ে নিজের নাম উল্লেখ করে কভার লেটার শেষ করুন।
১০. সবসময় এক ধরণের কভার লেটার লেখা থেকে বিরত থাকুন কভার লেটার লিখবেন কাজের ধরণ অণুযায়ী আপনার জব কভার লেটার লিখুন।